রাজনীতি

৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন জনগণ বয়কট করবে : খেলাফত মজলিস

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৪

৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়ে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, একতরফা নির্বাচন বাতিল করে আমরা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছি। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে তা জাতির কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। অবিলম্বে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তামাশার নির্বাচনটা বাতিল হলে দেশ ভয়াবহ বিপদ থেকে বেঁচে যাবে।

গতকাল (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা: রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ।

মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার বিদেশীদের কাছে নির্বাচন সুষ্ঠু দেখানোর জন্য নাটক তৈরি করছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জবরদস্তিমূলক ও পরিকল্পিত একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। নিজের দলের লোকদের প্রতিদ্বন্দ্বি বানিয়ে ডামি নির্বাচন করছে। এতে দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে কার্যত কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে না। এ ধরণের প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন নির্বাচন শুধু দেশের মানুষ নয় বিদেশীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে না। এতে বৈদেশিক চাপ আরো বাড়বে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আশংকার চেয়েও বেশি খারাপের দিকে ধাবিত যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। রেমিটেন্স ও রপ্তানী আয় কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে সামনে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় শুরু হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশকে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।