রাজনীতি

আসন্ন নির্বাচনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই : ওবায়দুল কাদের

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৪

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে বলেই নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলেই নির্বাচনের স্বচ্ছতা দৃশ্যমান হচ্ছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। যেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেখানেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ বা তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর।

আজ (৩ জানুয়ারি) বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগ অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে। আশা করি, বিশ্ববাসী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। যেখানে জনমত বিজয়ী হবে। বিএনপি-জামায়াত এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তারা ব্যর্থতা ও ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখান থেকে তারা বেরুতে পারচ্ছে না। তাদের নেতিবাচক কর্মসূচি, নাশকতা, অবরোধ জনগণ অগ্রাহ্য করেছে। বিএনপি সহিংসতা করবে না বললেও সেটা সত্যি কি-না সেটা বলার সুযোগ নেই। কারণ, তারা বলে একটা, করে আরেকটা। খবর পাচ্ছি তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দ্বিমুখী ভূমিকার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনুসের মামলার রায় নিয়ে বাংলাদেশের মানবতা নিয়ে কথা বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের মামলায় রায় দেয়া নিয়ে তাদের মাথাব্যথা। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যে হত্যাকান্ড চালাচ্ছে সে বিষয়ে কেন কথা বলছে না। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেনি। ১১ দেশের ৮০ জন পর্যবেক্ষক আসবেন। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা এসেছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০ জন সংবাদকর্মীও আসবেন। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায় কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে।