রাজনীতি

মানুষের কাছে নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের উৎসব : ওবায়দুল কাদের

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৪

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্বাচন হলো উৎসব, গণতন্ত্রের উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনগণ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। নৌকার পক্ষে সারাদেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

আজ (৫ জানুয়ারি) শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। এর আগে সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ২৯৯ আসনে মোট প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। যার মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক দেখে উৎসাহবোধ করছে, ইতোমধ্যেই অনেক বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক এসেছেন। তাদেখে আমরা উৎসাহিত। তারা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা আশা করবো অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার সঠিক চিত্র তারা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ নির্ভয় ভোট দেবে, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া হবে। সবাই ভোট কেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয় ভোট দেবে। ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।

নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে যে বা যারাই বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞাদেবে বলেছিল। কিন্তু বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে, হরতাল দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেনো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করছে না। সেটা আমাদের মনে প্রশ্ন জাগায়! হরতাল এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি মরচে ধরা হাতিয়ার। হরতাল ও অবরোধ এখন বিএনপির কর্মসূচিতে আছে বাস্তবেই।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনার ওয়াদা অনুযায়ী, আজদেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। পাশাপাশি, দারিদ্যের হার কমে হয়েছে মাত্র ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, অতি দারিদ্র কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মানুষের গড় আয়ুবেড়ে ৭২ বছর ৮ মাস হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালায়। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মী ও ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার অধীনে সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইলেকশন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই কমিশন সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।