ঢালিউড

যুদ্ধ ও প্রেমের উপাখ্যান ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ কাল মুক্তি পাচ্ছে

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২৩

‘১৯৭১ সেই সব দিন– তীব্র ভালোবাসা আর আশা-আকাঙ্ক্ষার গল্প। শুধু সময়টা ১৯৭১। তাই এর গল্প দর্শককে কাঁদাবে-হাসাবে সেই সঙ্গে একাত্তরকে অনুভব করাবে।’ ছবি নিয়ে এমন কথাই শোনালেন পরিচালক হৃদি হক। শুধু এই নির্মাতা নন, ছবির অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে কলাকুশলী সবাই এ কথার সঙ্গে একমত। সে হিসেবে ছবিসংশ্লিষ্ট সবার জন্যই আগামীকাল ১৮ আগস্ট একটি বিশেষ দিন। কারণ এ দিনই দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ ছবিটি। একদিক থেকে নন্দিত অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হকের দিনপঞ্জিতে তারিখটি আলাদা করে লিখে রাখার মতো; কারণ এটি তাঁর পরিচালনার প্রথম ছবি। এরচেয়ে বড় বিষয়– ছবির ভিন্নধর্মী পোস্টার, ট্রেলার ও দুটি গান ‘যাচ্ছো কোথায়’ ও ‘ইয়ে শ্যাম’ প্রকাশের পর দর্শক কৌতূহলও ছিল চোখে পড়ার মতো। যেখানে অনেক দিন পর দেখা মিলতে যাচ্ছে অভিনেতা লিটু আনামের। ভিন্ন অবয়বে দেখা দিয়েছেন নন্দিত অভিনেত্রী তারিন জাহান, সানজিদা প্রীতি, অভিনেতা সজলসহ প্রত্যেক শিল্পী। এ ছাড়া বরেণ্য অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ফেরদৌস, মুনমুন আহমেদ, শিল্পী সরকার অপু, সাজু খাদেম রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে।

এ সবকিছু জানার পর যে প্রশ্নটি সবার আগে আসে তা হলো, যুদ্ধ আর প্রেমের এই উপাখ্যান তুলে ধরার প্রস্তুতি নিশ্চয় গুটিকয়েক দিনের নয়? সে কথা জানতে চাইলে হৃদি স্বীকার করেন, “অনেক দিনের প্রস্তুতি আর চেষ্টা থেকে ছবিটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হতে পারে, দুই বছরের মধ্যেই এর সব কাজ শেষ হয়েছে। বিষয়টি তা নয়। সিনেমা নিয়ে ভাবনার শুরু নব্বই দশকের শেষ প্রান্তে; যখন বাবার [বরেণ্য অভিনেতা ও নাট্যকার ড. ইনামুল হক] লেখা ‘সেই সব দিন’ নিয়ে নাটক মঞ্চায়নের প্রস্তুতি চলছিল। নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিল নাগরিক নাট্যাঙ্গন। তখনই আমার কাছে মনে হয়েছিল শুধু মঞ্চ নয়, ‘সেই সব দিন’-এর কাহিনি সিনেমাতেও তুলে ধরা যেতে পারে। বাবাকে এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলাম। তাঁর কথা ছিল, সিনেমার চিত্রনাট্য তৈরি করলেও মূল ভাবনাটা যেন ঠিক থাকে। এরপর বহু বছর কেটে গেছে। একটু একটু করে চিত্রনাট্য তৈরি, নির্মাণ পরিকল্পনা সাজানো থেকে শুরু করে পুরো আয়োজনে অনেকটা সময় লেগে গেছে। এরপর শুটিং শুরুর পর করোনা হানা দেওয়ায় কাজ থেমে যাওয়া, ফের তা শুরু করা আর নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ছবি নির্মাণ শেষ করতে আরও দু’বছর ব্যয় হয়েছে।”

এ তো গেল প্রস্তুতি ও কাজের কথা। এখন প্রশ্ন হলো– হৃদি যেভাবে তাঁর ছবির গল্প তুলে ধরেছেন, সেখানে কতটা বাস্তবতার ছায়া খুঁজে পাওয়া যাবে?এর উত্তরে অভিনেতা ফেরদৌস বলেন, ‘অভিনেতার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি– গল্প, চিত্রনাট্য, নির্মাণশৈলী দর্শককে যতটা মুগ্ধ করতে, ততটাই ভাবিয়ে তুলবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা নিয়ে। আগেও আমি মুক্তিযুদ্ধের অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি। এত ডিটেইল কোনো ছবিতে চোখে পড়েনি। হৃদি অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি করেছেন। আমার বিশ্বাস, ছবিটি ঘিরে তাঁর যে স্বপ্ন তা পূরণ হবে।’

তারিন জাহান, সজল থেকে শুরু করে অন্য শিল্পীরাও একই কথা বলেছেন। তাদের মতে, ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমা। যেখানে অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নেপথ্যের প্রত্যেক মানুষ একটি ভালো কাজ তুলে ধরার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এ কারণেই সবার চাওয়া– দর্শক হলে আসবেন, সিনেমাটি দেখবেন, জানাবেন ভালো লাগা-মন্দ লাগার কথা।