রাজনীতি

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী?

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে জমা পড়া প্রায় পৌনে তিন হাজার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব প্রার্থীদের বড় অংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদেরও কয়েকজন বাদ পড়েছেন। তারা সবাই এখন আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচন করার অনুমতি না পান, তাহলে সেসব আসনের ব্যাপারে দলটির সিদ্ধান্ত কি হবে, সেটি নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। প্রাথমিক বাছাইয়ে যারা বাদ পড়েছেন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে তারা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে আপিল করা শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আপিলের প্রথমদিনে সারা দেশে মোট ৪০টি আবেদন পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আপিল আবেদনের সময় শেষ হবে আগামী ৯ই ডিসেম্বর। এরপর ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। অর্থ্যাৎ মনোনয়ন বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, সেটি আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এ অবস্থায় প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীদেরকে কি নির্দেশনা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ?

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে বলা হয়েছে। আমাদের যেসব প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন, তাদের সবাইকে নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন থেকে যে যে ধরনের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে, সব কিছুই যেন ঠিকঠাক মত জমা দেওয়া হয়, সে ব্যাপারেও তাদেরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে আপিলে দলের মনোনিত প্রার্থীদের কেউ বাদ পড়লে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, প্রার্থিতা ফিরে পেতে দলের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছেন নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।নোয়াখালী-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরণ বলেন, গতবার নির্বাচন করেছি, এবারও করবো। নির্বাচন কমিশন যে কারণ দেখিয়ে আমাকে বাদ দিয়েছে, আপিলে সেটি টিকবে না বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপিলের জন্য যে ধরনের কাগজ ও প্রমাণপত্র দেখানো দরকার, সবকিছুই জোগাড় করা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যেই আপিল করবো।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার সারা দেশ ২৯৮টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেসব প্রার্থীদের সবাই গত ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমাও দেন। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন কারণে বরিশাল, নোয়াখালী, কক্সবাজার এবং কিশোরগঞ্জে দলটির চার জনের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে বরিশাল-৪ আসনে বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া নাসিরুল ইসলাম খানেরও প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতির কাগজ জমা না দেওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ঋণ খেলাপি হওয়ায় কক্সবাজার-১ আসনের সালাহ উদ্দিন আহমদ এবং নোয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরণের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে মিস্টার কিরণ বর্তমানে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, আইনত তারা সবাই আবেদন করতে পারবেন। তবে যার যে অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, আপিলে তিনি যদি ঐসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করার মতো প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ দেখাতে না পারেন, তাহলে প্রার্থিতা ফিরে পাবেন না।

যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, এরপরে তাদের আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা করতে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে এবার সারাদেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ২৭১৬ জন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের পর এক হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রাথমিক বাছাইয়ে যারা বাদ পড়েছেন, আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ই ডিসেম্বর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া প্রার্থিতা বৈধ হওয়ার পরও যদি কেউ নির্বাচন করতে না চান, সেক্ষেত্রে আগামী ১৭ই ডিসেম্বরের মধ্যে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর তফসিল অনুযায়ী ১৮ই ডিসেম্বর দেওয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ। তবে নির্বাচনের আগে পর্যন্ত যেকোনো দিনে আদালতের আদেশে কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেলে তিনিও প্রতীক বরাদ্দ পাবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

১৭ নভেম্বরের পর থেকেই মূলত সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে, যা চলবে আগামী ৫ই জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ৭ই জানুয়ারি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সহ প্রায় ৩০টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো নির্বাচনে আসছে না।

যেসব কারণে প্রার্থিতা বাতিল
গত দুই জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশি সংখ্যক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মোট দুই হাজার ৭১৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ৭৩১ জনের। সেই হিসাবে এবার প্রায় ২৬ দশমিক নয় শতাংশ মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর আগে, ২০১৮ সালে প্রায় ২৫ দশমিক ছয় শতাংশ এবং ২০১৪ সালে প্রায় ২১ শতাংশ মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেসব কারণে এবার এতো বেশি প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ঋণ ও বিল খেলাপি, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা, ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়া, অসম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা, হলফনামায় তথ্য গোপন বা অসত্য তথ্য প্রদান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়া।

বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ তোলেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, অথ্যাৎ অন্য কোন রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নেন বা আনুগত্য স্বীকার করেন, তাহলে তিনি নির্বাচনের প্রাথী হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। কাজেই প্রার্থিতা ফিরে পেতে হলে মিজ শাম্মীকে অবশ্যই দ্বৈত নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আইন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়ার আগেই, অর্থাৎ গত ৩০শে নভেম্ববরের মধ্যেই উনাদের অন্য দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করার কথা। প্রার্থীদেরকে এব্যাপারে আগেই অবহিত করা হয়েছে। তারপরও দ্বৈত নাগরিকত্ব ত্যাগ করার পক্ষে যারা তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে পারেননি, তাদেরকে ৯ই ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলো জমা দিতে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে তারা প্রার্থিতা করতে পারবেন না।

অন্যদিকে, ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে প্রাথমিক বাছাইয়ে প্রার্থিতা হারিয়েছেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ। একই অভিযোগে কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। যদিও তারা দু’জনই ঋণ খেলাপি নন বলে দাবি করেছেন।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমার নামে কোন ঋণ নেই। আগে আমার একটি ফিস প্রোসেসিং কারখানা ছিল, যেটি আমি বিক্রি করে দিয়েছি। এখন যারা ঐ কারখানার মালিক, তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। কিন্তু ব্যাংক ভুল করে আমার নামও তালিকায় দিয়ে দিয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি কোর্টের অর্ডার অর্ডার নিয়েছি। এখন ব্যাংকের একটা কাগজের অপেক্ষায় আছি। ওটা হাতে পেলেই আপিল আবেদন করে ফেলেবো।

এছাড়া কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খানকে ফৌজদারি মামলায় থেকে অব্যাহতির কাগজপত্র দেখাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। তিনিও আপিল আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।

আ’লীগ বিকল্প কিছু ভাবছে?
মনোনিত প্রার্থীদের সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করার আশা করছে আওয়ামী লীগ। দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রার্থীরা সবাই আপিল আবেদন করছে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ দিয়েই তারা আবেদন করছেন। কাজেই আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের কেউই বাদ যাবেন না বলে আমাদের বিশ্বাস।

কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের সময় বাদ পড়া চার আওয়ামী প্রার্থীর একজনও যদি শুনানিতে চূড়ান্তভাবে প্রার্থিতা হারান, সেক্ষেত্রে ঐ প্রার্থীর আসনে কীভাবে নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ? বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আশা করছি বাদ পড়বে না। তারপরও যদি তেমন কিছু ঘটে, তাহলে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং সেটা প্রতীক বরাদ্দের আগেই।

বিএনপিসহ বেশ কিছু দল এবারের নির্বাচনে অংশ না নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট দেখাতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। আর সে কারণেই দলের মধ্যে যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে, তাদেরকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। দলের এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে অভিহিত করছে আওয়ামী লীগ। বরিশাল, নোয়াখালী, কক্সবাজার এবং কিশোরগঞ্জের যে চারটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নেতারা প্রার্থিতা হারিয়েছেন, সেগুলোতেও দলটির একাধিক ডামি প্রার্থী রয়েছে। যেমন- বরিশালের যে আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন, সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে আছেন আওয়ামী লীগেরই আরেকজন নেতা ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।

এছাড়া আওয়ামী লীগের নেত্বত্বাধীন ১৪ দলের অন্য শরিকদেরও প্রার্থী রয়েছে ঐসব আসনে। পাশাপাশি নতুন যেসব দল নির্বাচনে এসেছে, আওয়ামী লীগ তাদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দিতে পারে বলেও জোর গুঞ্জন রয়েছে। এক্ষেত্রে কক্সবাজার-১ আসন নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদ প্রার্থিতা হারালেও মনোনয়নের বৈধতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। সৈয়দ ইব্রাহিম এতোদিন বিএনপি ঘরানার বলে পরিচিত ছিলেন। বিএনপির নেতৃত্বে অতীতে তাকে সরকার বিরোধী অনেক আন্দোলনেও অংশ নিতে দেখা গেছে। কিন্তু সম্প্রতি সেই অবস্থান থেকে সরে এসে হঠাৎ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন সৈয়দ ইব্রাহিম। সবমিলিয়ে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে খুব একটা দুশ্চিন্তা বা শঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।


সূত্র : বিবিসি বাংলা