বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় আরো ৭১৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে। এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত অবশিষ্ট প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সংশোধিত নীতিমালা বিবেচনা করে বিভিন্ন পদে মোট ৭১৩ জন প্রার্থী যোগ্য মর্মে বিবেচিত হওয়ায় পুলিশ/নিরাপত্তা ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান অবস্থায় শর্ত সাপেক্ষে তাঁদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। নিয়োগ সুপারিশের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি-২০২২ বক্সে অথবা সরাসরি এই লিংকে প্রবেশ করে নিজ নিজ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিয়োগ সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সুপারিশপত্রে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে এবং উল্লিখিত তারিখের মধ্যে যোগদান করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, পুলিশ/নিরাপত্তা ভেরিফিকেশন প্রতিবেদনে নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী অনুপযুক্ত বিবেচিত হলে এ সুপারিশপত্র তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রার্থীকে অব্যাহতি প্রদান করবে। প্রার্থী যোগদানের নির্ধারিত সবশেষ তারিখের পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা তাঁদের নিজ নিজ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে টেলিটকের এই লিংকে প্রবেশ করে Joining Status অপশনে ‘Yes’-এ ক্লিক করতে হবে। প্রার্থী যোগদান না করলে Joining Status-এ ‘No’ ক্লিক করে Reason-এর ঘরে যোগদান না করার সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানপ্রধান টেকনিক্যাল কারণে খুদে বার্তা না পেলে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকা এবং সুপারিশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশের ফল প্রকাশ করে। মোট পদ ছিল ৩২ হাজার ৪৮০টি। কিন্তু নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৪ জন। সে সময় এনটিআরসিএ সূত্র জানিয়েছিল, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭ জন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভিআর ফরম দাখিল না করায় এবং অবশিষ্ট ১ হাজার ৭৯৯ জনের মধ্যে জাল সনদ পাওয়ায়, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায়, বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করা, নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল পদে আবেদন করায়, মামলার স্থগিতাদেশ থাকাসহ নানা কারণে নিয়োগে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮টি শূন্য পদ। মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ ছিল ৩৬ হাজার ৮৮২টি। সব কটি এমপিওভুক্ত পদ। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী এক লাখের বেশি নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রার্থী।