১৮ জুন, ২০২৫

রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর চন্দনীতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের পাঁচজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর মামলা দায়ের হলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—গাজীপুর জেলার কাশিমপুর উপজেলার সারদাগঞ্জ ইউনিয়নের সারদাগঞ্জ পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাদের সরদারের ছেলে শাহ আলম ভাঙ্গারী (৪৫), রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার ৩নং একরচালি ইউনিয়নের ছোট লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৬), সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার খাসকাওলীয়া ইউনিয়নের মধ্যখাসকাওলীয়া মিয়াপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে নুর হোসেন (৪০), টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলার অর্জুণা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কুঠিবয়রা গ্রামের মৃত একেন্দালী সরকারের ছেলে মামুন সরকার (৪২) ও একই উপজেলার রামাইলের চর গ্রামের মো. সাত্তারের ছেলে মো. সেলিম (৩০)। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য।

জানা গেছে, গত ২৩ মে দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী এলাকায় ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন ডাকাতি করেন। ডাকাতরা লোহার রড, কাঠের বাটাম, ধারালো ছ্যানদা, চাপাতি নিয়ে বসতবাড়ির বাইরের বাউন্ডারির তারকাটা কেটে প্রথমে বাড়ির সীমানায় এবং পরে বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদের একজন ব্যবসায়ী বিশ্বনাথের মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং বিশ্বনাথের স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র গলায় ঠেকিয়ে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে বাড়িতে থাকা ৬ লাখ টাকা ও ৫/৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী বিশ্বনাথের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞানামা ডাকাদের বিরুদ্ধে গত ২৪ মে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, ব্যবসায়ী বিশ্বনাথের বাড়িতে গত ২৩ মে দিবাগত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর গত ১৬ জুন রাতে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডাকাত দলের সক্রিয় পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ, একটি বোল্ট কাটারসহ অন্যন্য সরঞ্জামাদি ও ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের মধ্যে শাহ আলম ভাংগারির নামে ৫টি ডাকাতি মামলা, মো. শফিকুল ইসলামের নামে ডাকাতিসহ বিস্ফোরক আইনে ১০টি মামলা, মো. নুর হোসেনের নামে জুয়া ও চুরিসহ ২টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে রাজবাড়ী, গাজীপুর, ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা আছে।