৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫

দীর্ঘ ৭ বছর কোমায় থেকে মারা গেলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার

কয়েক বছর কোমায় থাকার পর গতকাল মারা গেছেন শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো।

 

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলম্বোর মাউন্ট লাভিনিয়া এলাকায় সমুদ্রসৈকতে অনুশীলন সেশনের একটি অরক্ষিত রেলপথ পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ফার্নান্দো। এর পর থেকে ৩৪ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার বেশির ভাগ সময় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বলে জানিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।

 

শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্ভাবনাময় এক ব্যাটসম্যান ছিলেন ফার্নান্দো। যে সময়ে তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ার গতিশীল হয়ে উঠছিল, ঠিক তখনই ট্রেনের ধাক্কায় থেমে যায় তাঁর সবকিছু। ফার্নান্দোর বয়স তখন ২৭ বছর।

 

দুর্ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি পান ফার্নান্দো। অফ স্পিনও বেশ ভালোই করতেন। সিনিয়র পর্যায়ে তাঁর সাতটি ৫০‍+ স্কোর ছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৯ ম্যাচে ১০৬৭ রান করেছিলেন ফার্নান্দো। লিস্ট এ ক্রিকেটে ২৫ ম্যাচে করেন ২৯৮ রান। ১৯টি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন ফার্নান্দো।

 

নিউজিল্যান্ডে ২০১০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ফার্নান্দো। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ উইকেটে হারের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেই দুর্ঘটনার পর কোমায় চলে যাওয়া ফার্নান্দোকে তাঁর প্রজন্মের লঙ্কান ক্রিকেটে অন্যতম সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচনা করা হতো। শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলে খেলা দানুস্কা গুনাতিলকা, ভানুকা রাজাপাকসে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ফার্নান্দোর সতীর্থ ছিলেন।

 

কলম্বোর সেন্ট পিটার কলেজ থেকে উঠে আসা ফার্নান্দো স্কুল ক্রিকেটেও সফল ছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলের অধিনায়কত্ব করেছেন।

 

আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার ও রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের সিনিয়র প্রশাসক রোশান আবেসিংয়ে ফার্নান্দোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সে ছিল এক অসাধারণ তরুণ, যার প্রতিশ্রুতিময় ক্যারিয়ার নির্মম এক দুর্ঘটনায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। স্কুল ক্রিকেট এবং রাগামার জন্য দারুণ এক খেলোয়াড়। আমাদের সবার জন্য দিনটা দুঃখের। আমরা তোমাকে মিস করব আকশু এবং সারা জীবন মনে রাখব। শান্তিতে বিশ্রাম নাও প্রিয় রাজকুমার।’