৩০ মে, ২০২৫

রাসেলস ভাইপারের কামড়ে প্রাণ গেলো ২ কৃষকের

কুষ্টিয়ায় মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমাম।

বুধবার গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার গবরগাড়া গ্রামের একটি আমবাগান থেকে আশরাফুল হোসেন কালুকে (৩৫) রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত আশরাফুল হোসেন কালু কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গবরগাড়া গ্রামের নাড়া ফকিরের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন।

এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমারখালী উপজেলার চর জগন্নাথপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে কামরুল প্রামাণিককে (৫০) রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত কামরুল প্রামাণিক কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চর জগন্নাথপুর গ্রামের করিম প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

নিহত কামরুলের ভাতিজা বিপুল প্রামাণিক বলেন, আমার চাচা সকালে মাঠে যান। মাঠে কলার বাগানে কাজ করা অবস্থায় রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। এ সময় সাপটি মেরে হাতে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন চাচা। রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে মৃত কালুর স্বজনরা বলেন, গভীর রাতে আমবাগানে গিয়েছিল কালু। এ সময় রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।