
বাংলাদেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশার যৌথ জীবনের ১৩ বছর অতিবাহিত করলেন। আজ (১৬ জুলাই) তাঁদের ১৩তম বিবাহ বার্ষিকী। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন এই তারকা জুটি। ১৩তম বিবাহ বার্ষিকীর প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন ফারুকী ও তিশা দম্পতি।
অন্যদিকে নুসরাত ইমরোজ তিশা বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ২০১০ এর এই দিনটাতে আমাদের বিয়ে হয়। আজ ২০২৩। দেখতে দেখতে তেরোটা বছর এক সাথে কাটিয়ে দিলাম। তাই ভাবলাম একই পোষাকে একই মানুষের সাথে আবার বিয়ে হোক। জীবনে যোগ হয়েছে শুধু ইলহাম। আর বিয়োগ হয়েছে সময়। বাকি সবকিছু আগের মতোই আছে। ধন্যবাদ তোমাকে, এত বছর আমাকে সহ্য করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ। লাভ ইউ সো মাচ। হ্যাপি ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি।
বিয়ের এই দিনটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফারুকী। নিজের বিয়ে নিয়ে বেশ কিছু আবেগ মেশানো মজার তথ্য শেয়ার করেছেন ‘ডুব’ খ্যাত এই নির্মাতা। ফারুকী লিখেছেন, জীবন কখনো কখনো নিজের মতো করেই স্ক্রিপ্ট লেখে। আমাদের বিয়ের তেরো বছর পূর্তিতে তিশা পরিকল্পনা করলো- আমরা বিয়েতে যে পোষাক পরছিলাম সেটা পরেই তেরো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটা ফটোশুট করবো। সেই একই মানুষ, একই পোষাক, শুধু সময়টা এগিয়ে গেছে, আর আমাদের জীবনে এসেছে ইলহাম। তো সেই অনুযায়ী আমরা ভাবছিলাম কোথায় যাওয়া যায়! ঢাকার কাছেই হিজল তমাল নামে একটা পিকনিক স্পট আছে। ওখানেই গেলাম। গিয়েই খেয়াল হলো এর মালিকের বাড়ীতেই নিখোঁজ সংবাদ শুটিং হইছিলো। আর সেই স্পটেই আমি তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিছিলাম। আজকে তেরো বছর পর সেখানেই আসাটা মহাজাগতিক এক পরিকল্পনাই বটে। তেরো বছরে আমরা অনেক চড়াই-উতরাই পার হইছি। বাচ্চা নেয়া নিয়ে অনেক কিছুর মুখোমুখি হইছি। কিন্তু নিঃসন্দেহে এই জার্নিটা ছিলো অসাধারন। তোমার কাছে কৃতজ্ঞতার তালিকাটা অনেক বড়। কত বড় বড় বিষয় থেকে শুরু করে তুচ্ছ বিষয়ে তোমার উপর নির্ভর করি। তোমাকে ছাড়া বিদেশে গেলে এখনো রাতের বেলা বাতি নিভাইতে পারি না, ভয় পাই। ভাবি একা একা যাবো কিভাবে এই দুনিয়া থেকে? অথচ কি আশ্চর্য আমরা একা একাই বড় হইছিলাম এই দুনিয়ায়!!
আরো কত কিছু বলতে মন চায়।
তার চেয়ে বরং বলি, লাভ ইউ তিশা।
হ্যাপি অ্যানিভারসারি টু আস।
ফারুকীর সেই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের বাক্স শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসে গেছে। ফারুকী অনেকের শুভেচ্ছাবার্তার জবাবও দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘পারাপার’ টেলিফিল্মে কাজ করতে গিয়ে তিশার সঙ্গে চেনাজানা শুরু। ‘সিক্সটি নাইন’ নাটক করতে গিয়ে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। দীর্ঘদিনের সে প্রেম ২০১০ সালে পরিণতি পায় বিয়েতে।