নির্বাচন

নির্বাচন কমিশনই অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে : ইসি আলমগীর


Deprecated: Function get_the_author_ID is deprecated since version 2.8.0! Use get_the_author_meta('ID') instead. in /home/bkotha24/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো চাপে নেই। বরং নির্বাচন কমিশনই অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে; যাতে সুন্দর, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন হয়।

আজ (৭ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিনিয়র জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মতিয়ূর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিজিবি, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

ইসি আলমগীর বলেন, বিদেশিরা কখনো আমাদের চাপ দেন না। চাপ দেওয়ার তাঁদের কোনো রাইটও (অধিকার) নেই। কারণ, আমরা স্বাধীন–সার্বভৌম দেশ। নির্বাচন কমিশন আবার স্বাধীন–সার্বভৌম দেশের সাংবিধানিক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তাঁরা আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি, আইনকানুন ও কারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন, কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা আইনকানুনে কী কী সংশোধন এনেছি—সেসব বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। সম্ভবত কোনো মাধ্যমে তাঁরা বুঝতে চেষ্টা করেন, এর মাধ্যমে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিল, সেই পর্যন্ত আমরা তাদের বলেছি। আইন অনুযায়ী এই মুহূর্তে কোনো সুযোগ নেই। তারপরও কেউ যদি অংশগ্রহণ করতে চায়, আমাদের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা যা কিছুই করি না কেন, সংবিধানের আলোকে করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এখনো নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি, অতীতের জাতীয় নির্বাচনগুলোয় যেহেতু সেনাবাহিনী ছিল, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য অনেকেই বলেছেন। তবে যার হাতে অস্ত্র থাকে, তার হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয় না। আর বিচারিক ক্ষমতা যার হাতে দেওয়া হয়, তার হাতে অস্ত্র দেওয়া হয় না। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইতিমধ্যে কানাডা, নেপাল, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের ৮৩ জন পর্যবেক্ষক আবেদন করেছেন। এছাড়া ৪৬ জন বিদেশি সাংবাদিক আবেদন করেছেন।