মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। নারীদের হাতে স্কুটার দেয়ার মধ্য দিয়ে তাদের ইচ্ছামতো চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। পথ চলতে পদে পদে তাদের যে ভোগান্তি, তা দূর হবে। গণপরিবহনে নারীদের চলাচল করতে গিয়ে নানারকম ঝক্কি ঝামেলা মোকাবিলা করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে তাদের কাজে। তাই নারীদের নিরাপত্তা রক্ষায় একশ বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যেন কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায়। স্কুটার বিতরণের মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। আজকে যারা এ ঋণ পাচ্ছেন, আশা করি তারা ভালোভাবে এ অর্থ ব্যবসায় বিনিয়োগ করবেন। দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে নিজে ও অন্য নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাবেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে রাপা প্লাজায় জয়িতা নারী উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদের ঋণে স্কুটার ও ঋণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।বিশেষ অতিথি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, গেস্ট অব অনার হিসেবে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন এবং টিভিএস অটো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে. একরাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পাঁচ জন নারীর হাতে মোট ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ঋণের আওতায় পাঁচটি টিভিএস স্কুটার হস্তান্তর করেন। এছাড়াও তিনি জয়িতা ফাউন্ডেশনের ৭৫ জন নারী উদ্যোক্তাকে মোট ১১ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকার এসএমই ঋণের চেক বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, জয়িতা ফাউন্ডেশনের রিভলভিং ক্যাপিটাল সাপোর্ট ফান্ড থেকে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে ঋণগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। ফান্ডে বর্তমানে বিদ্যমান ৩৭ কোটি টাকার মধ্যে সাড়ে ১১ কোটি টাকা নারী উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও করোনার সময় প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৩৮২ জন নারী উদ্যোক্তাকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।
