রাজনীতি

কাল রাজধানীতে সাংবাদিকদের সাথে খেলাফত মজলিসের মতবিনিময়

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৩

দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন-সহ চলমান আর্থ-সামজিক ও রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আগামী (২৯ জুলাই) শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর পূর্বে একই দাবিতে সারাদেশে ৮ বিভাগীয় সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আগামীকাল (২৬ জুলাই) বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বিজয়নগরস্থ (৫ম তলা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দলের প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিবেন সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

বর্তমান আর্থ-সামাজিক-শিক্ষা ও রাজনৈতিক সংকট নিরসনে খেলাফত মজলিসের ৮ দফা দাবি—

১. দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা : রাজনৈতিক সংকট উত্তোরণে নির্বাচনের তিন মাস পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালিন বা অন্তবর্তীকালিন সরকার গঠন করে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এবং নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করত হবে।

২. নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা : নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পেশীশক্তি ও অর্থশক্তি মুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

৩. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমুহকে আস্থায় না নিয়ে নির্বাচন কমিশন বা সরকারের একক সিদ্ধান্তে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।

৪. গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করা : গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং তাদের উপর দায়েরকৃত সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৫. রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করা : বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহকে সভা-সমাবশ করার অবাধ সুযোগ দিতে হবে। বিরোধী দলসমুহের কর্মসূচিতে বাঁধা দান, হয়রাণী, গ্রেফতার, মামলা, হামলা বন্ধ করতে হবে।

৬. পণ্যমূল্য কমিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতি নির্মূল করা : জ্বালানী তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য
কমিয়ে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এনে জনগণের দূর্ভোগ লাঘব করতে হবে এবং সাথে সাথে অর্থ পাচার রোধ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরৎ আনাসহ সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতি নির্মূল করার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. বেকার সমস্যা সমাধান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকুরীতে নিয়োগ দান : দেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সর্বাত্মক ব্যবস্থা অবলম্বনের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে সব সরকারী চাকুরিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা : সাধারণ শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ করতে হবে এবং সকল বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় বিষয়কে আবশ্যকীয় বিষয় হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। বর্তমান শিক্ষানীতির আলোকে প্রণীত স্কুল-মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামী চিন্তা-বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক যাবতীয় বিষয়াদী বাদ দিতে হবে। সমতা সৃষ্টির নামে সাধারণ পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে মাদরাসায় ইসলামী শিক্ষার মান ও পরিবেশ কোন ক্রমেই ক্ষুন্ন হতে দেয়া যাবে না।