
পনের মাস আগে ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ অস্ট্রেলিয়ার একটি স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন এবং গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন যে সে দেশের ভিক্টোরিয়া প্রদেশ ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করবে – ‘এটা হবে ভিন্ন এক গেমস,’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্ড্রুজ কিছুটা নিরানন্দ মুখেই সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন এবং কাটাকাটা ভাষায় জানিয়ে দেন, তিনি যে প্রদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেটি কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের চুক্তি থেকে সরে যাচ্ছে। এই ঘটনা পুরো পরিকল্পনাকে তছনছ করে দিয়েছে এবং কমনওয়েলথ গেমসের ভবিষ্যৎ নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আয়োজকদের জন্য কঠিন কয়েকটি বছর পার হওয়ার পর বিশেষজ্ঞরা এখন মনে করছেন কমনওয়েলথ গেমসের দিন শেষ হয়ে এসেছে। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার স্টিভ জর্জাকিস বলছেন, এর মধ্য দিয়ে কমনওয়েলথ গেমসের পরিসমাপ্তির সূচনা হলো।অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া ইতিহাসবিদ ম্যাথিউ ক্লুগম্যানও একমত যে “কমনওয়েলথ গেমসের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে।”
এই অবস্থা দাঁড়ালো কীভাবে?
২০২৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য একটি আয়োজক দেশ খুঁজে পাওয়াই ছিল খুব কঠিন। কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন (সিজিএফ) আসলে ২০১৯ সালেই আয়োজক হিসেবে একটি শহরের নাম ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু আয়োজনের খরচ নিয়ে উদ্বেগের জন্য আগ্রহী শহরগুলোর উৎসাহ কর্পূরের মতো উবে যায়। এর জের হিসেবে তিন বছর ধরে সিজিএফ কোন শহরকে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়। ভিক্টোরিয়া প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রুজ বলছেন, আয়োজকরা তার সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং প্রাথমিকভাবে “সাহায্য করতে পেরে” তারা খুশিই ছিলেন। তবে এটা যে কোনও মূল্যে হবার নয়। কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজন ভিক্টোরিয়ার আঞ্চলিক শহরগুলির জন্য একটি বড় উৎসাহের কারণ বলে মনে করা হচ্ছিল। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২.৬ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কিন্তু ১২-দিনব্যাপী গেমসের মঞ্চায়নের খরচ এখন বেড়ে ছয় বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে দাঁড়িয়েছ। এই দায়িত্বে আমি অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু এটি তার একটি নয়।
সিজিএফ বলছে, ভিক্টোরিয়ার সিদ্ধান্তটি আচমকা এবং খরচের যে হিসেব দেয়া হচ্ছে সেটা তারা মানতে নারাজ। সংস্থাটি ভিক্টোরিয়া প্রদেশের “ইউনিক আঞ্চলিক ডেলিভারি মডেল”-কে ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের পেছনে প্রাথমিক কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এবং তারা অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য প্রাদেশিক সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে খরচের বিষয়টা “ব্যাপকভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় সিজিএফ-এর শাখা হলো কমনওয়েলথ গেমস অস্ট্রেলিয়া (সিজিএ)। তারা বলছে, অন্যান্য প্রদেশের সরকারগুলিকে তারা বোঝানোর চেষ্টা করবে যে ব্যয়ের হিসেবটি একটি “স্থূল অতিরঞ্জন,” এবং এখানে বিনিয়োগ এখনও লাভজনক। “আমাদের হাতে থাকা বিকল্প উপায়গুলির বিষয়ে আমরা এখন পরামর্শ নিচ্ছি এবং ২০২৬ সালের গেমসের জন্য একটি সমাধানের পথ খুঁজতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমাদের খেলোয়াড় এবং বৃহত্তর কমনওয়েলথ গেমস আন্দোলনের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় স্বার্থ,” – সিজিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। কিন্তু সিজিএফ-এর জন্য এই সমস্যা নতুন না।
২০২২ সালের কমনওয়েলথে গেমসের আয়োজক খুঁজে বের করতেও তাদের বেশ লড়াই করতে হয়েছিল। কথা ছিল আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম শহর হিসেবে ডারবান ঐ গেমসের আয়োজন করবে, কিন্তু অর্থ সঙ্কট এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়সীমা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ২০১৭ সালে তাদের “হোস্টিং রাইট” কেড়ে নেয়া হয়। এর নয় মাস পরে বার্মিংহাম শহর এবং ব্রিটিশ সরকার ইভেন্টটিকে বাঁচাতে হস্তক্ষেপ করে এবং এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। কমনওয়েলথের ইতিহাসে সেটি ছিল সেরা গেমসগুলোর অন্যতম। এখন ২০২৬ সালের গেমস আয়োজনের জন্য হাতে রয়েছে মাত্র তিন বছর। বিশ্বব্যাপী এবং বহু ইভেন্টের এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য এটি খুবই অল্প সময় এবং সিজিএফ এখন তার ত্রাণকর্তা খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এটা কঠিন এক কাজ। ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য প্রদেশের নেতারা এই ব্যয়ভার কাঁধে তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী রজার কুক এই ইভেন্টটিকে “ধ্বংসাত্মকভাবে ব্যয়বহুল” বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, “কমনওয়েলথ গেমস এখন আর আগের মতো নেই।” আরেকটি প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলসকে তার বর্তমান অবকাঠামো সুবিধার কারণে সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প হিসাবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু এর প্রধানমন্ত্রীর ক্রিস মিনস বলেছেন, “কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজন করতে পারলে চমৎকার হতো। স্কুল এবং হাসপাতাল নির্মাণ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ আয়োজক শহর গোল্ড কোস্ট, যেটি ২০১৮ সালে ইভেন্টটি হোস্ট করেছিল, তারা বলছে, “এত অল্প সময়ের মধ্যে কোনও শহর আয়োজন করতে চাইবে এটা ভাবাই এখন অযৌক্তিক।” কিন্তু এটা সম্ভব হলেও কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করতে পারে এমন ক্ষমতা রয়েছে খুব অল্প কয়েকটি দেশের। গত ২০ বছরে ব্রিটেন কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে মাত্র একবার এই গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছে – ২০১০ সালে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, ঐ ইভেন্টটি আয়োজন করতে ব্যয় হবে ২.৭০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ভারত শেষ পর্যন্ত খরচ করে ১৬ গুণ – প্রায় ৪.১ বিলিয়ন ডলার। কমনওয়েলথ জোটের মধ্যে অন্যতম ধনী দেশ অস্ট্রেলিয়া, এবং ড. জর্জাকিস বলছেন, দেশটি ঐতিহাসিকভাবে ইভেন্টের সবচেয়ে উৎসাহী সমর্থক। কিন্তু সেই অস্ট্রেলিয়াই যদি না পারে, তাহলে কমনওয়েলথভুক্ত ছোট দেশগুলো কীভাবে তা পারবে?
প্রাসঙ্গিকতা কমে যাচ্ছে
কিন্তু এটা শুধু খেলার খরচের ব্যাপারই নয়। ভিক্টোরিয়া প্রদেশের সিদ্ধান্তের যারা সমালোচনা করছেন তারা উল্লেখ করেছেন যে প্রদেশটি একই রকম বৈশ্বিক ক্রীড়া ইভেন্টে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। উদাহরণ হচ্ছে ফিফা নারী বিশ্বকাপ, যেটি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে, সেটি যৌথভাবে আয়োজনের জন্য ভিক্টোরিয়া মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। এর জবাব নিয়ে মি. অ্যান্ড্রুজ প্রস্তুত হয়েই ছিলেন। তিনি বারবার করে জোর দিয়ে বলেছিলেন যে ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমসে বিনিয়োগ করে “অন্যান্য ইভেন্টের মতো মুনাফা হবে না। “[এটাতে] শুধু খরচ এবং কোন লাভ নেই।
ওদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী কমনওয়েলথ গেমসের ভাবমূর্তি এবং প্রাসঙ্গিকতাও এখন কমে যাচ্ছে। প্রথমত, এই ইভেন্টটি আগের মতো তারকা খেলোয়াড়দের আকর্ষণ করতে পারে না। গত বছর ব্রিটিশ ডাইভিং চ্যাম্পিয়ন টম ডেলি, অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু কেট ক্যাম্পবেল এবং ট্র্যাক তারকা আন্দ্রে ডি গ্রাস, শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস ও শেরিকা জ্যাকসনসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় কমনওয়েলথ গেমসে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্প্রিন্ট তারকা উসেইন বোল্ট একবার কমনওয়েলথ গেমসকে নিয়ে উপহাস করেছিলেন বলেও গল্প চালু আছে। তবে তিনি দাবি করেছিলেন যে তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছিল, যদিও ঐ ঘটনার বিবরণ সাংবাদিকরা প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। এখন আগের চেয়ে আগ্রহ অনেক কম। এমন ঘটনা ১৯৯০য়ের দশকেও দেখা যায়নি। জমানা যে বদলে যাচ্ছে এতে তাই বোঝা যায়।
সেই পরিবর্তনের একটি অংশ হলো কমনওয়েলথ গেমসের যে মূল উদ্দেশ্য ছিল তার প্রতি ক্রমবর্ধমান উদাসীনতা। উনিশশো তিরিশ সালে শুরু হওয়া এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আগের নাম ছিল “ব্রিটিশ এম্পায়ার গেমস।“ ইতিহাসবিদরা বলছেন, ব্রিটেনের উপনিবেশগুলিকে একত্রে রাখার একটি হাতিয়ার ছিল এই প্রতিযোগিতা।
“এবং এমন একটি সাম্রাজ্যে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে যার তলায় ফাটল ধরতে শুরু করেছিল, তার শক্তি বজায় রাখা এবং জোরদার করার একটি উপায় হিসাবে এই গেমসকে দেখা হয়,” ড. ক্লুগম্যান বলছেন। কিন্তু এখন সাবেক উপনিবেশগুলি আরও বেশি সংখ্যায় ব্রিটেনের কাছ থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। অনেকগুলি হয় ইতোমধ্যেই প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো কিছু দেশ প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরের কথা বিবেচনা করছে। “১৯৩৮ সালের অস্ট্রেলিয়া ২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকখানি আলাদা,” বলছেন ড. জর্জাকিস। “ব্রিটিশ ব্যাকগ্রাউন্ডের নয় এমন লোকদের কাছে অস্ট্রেলিয়াকে “মাদার কান্ট্রি” এবং অন্যান্য প্রাক্তন উপনিবেশগুলির সাথে একত্রিত করার এই ধারণাটি এখন আর কেউ গ্রহণ করছে না।” এর সাথে যুক্ত হয়েছে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক ইতিহাস সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সচেতনতা এবং এই গেমসের সাথে তার যোগাযোগ।
উনিশশো বিরাশি সালে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা কমনওয়েলথ গেমসের নাম দিয়েছিলেন “স্টোলেনওয়েলথ গেমস।” এটি এমন একটি অপবাদ যা এখনও ঝেড়ে ফেলা যায়নি। “সঙ্গত কারণে একে স্টোলেনওয়েলথ বলা হয়,” মি. ক্লুগম্যান ব্যাখ্যা করছেন, “এসব দেশ ছিল এমন জায়গা যেখান থে সম্পদ হরণ করে [ব্রিটিশ] সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।” কেউ কেউ বলছেন, এখন অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় সঙ্কট এবং সংবিধানে আদিবাসীদের অধিকারের স্বীকৃতি নিয়ে বিতর্কের মাঝে এই গেমসে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করা হলে তা একটি কুৎসিত চেহারা নেবে।
একটি ‘কৌশলগত’ রিব্র্যান্ডিং
সিজিএফ বুঝতে পারছে যে কমনওলেথ গেমসের জন্য এটা টিকে থাকার লড়াই। এর প্রেসিডেন্ট ডেম লুইস মার্টিন ২০১৮ সালেই বলেছিলেন যে এই প্রতিযোগিতা “অস্তিত্বের সঙ্কটের” সম্মুখীন হচ্ছে। “সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ফেডারেশনগুলো আমাদের প্রভাব এবং মানে বোঝার জন্য অনেক আত্মানুসন্ধান করছে,” তিনি বলেছিলেন। এবং আগামী দশকগুলোকে ঘিরে এক কৌশলগত পরিকল্পনা সম্পর্কে সংস্থাটি বলেছে: “ঔপনিবেশিক শেকড়ের সাথে যুক্ত কমনওয়েলথের যে একটি সমস্যা-সঙ্কুল ইতিহাস রয়েছে তা সহজ করে বলার কোন উপায় নেই। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আধিপত্য থেকে বিশ্ব শান্তির দিকে মনোনিবেশ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে একথার অর্থ কী তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
তবে প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সমস্ত প্রশ্নের মধ্যেই এই গেমস তার অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ইভেন্ট। নেটবলের মতো অনেক খেলার মতোই কমনওয়েলথ গেমস তাদের প্রতিযোগিতার জন্য শীর্ষস্থান দখল করে আছে, এবং অনেক ক্রীড়াবিদ ভিক্টোরিয়ার এই সিদ্ধান্তে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। রেস ওয়াকার প্রতিযোগী জেমাইমা মন্টাগ বলছেন, এই সিদ্ধান্ত নিজ দেশের দর্শকদের সামনে তার তৃতীয় স্বর্ণপদক জেতার সুযোগটি কেড়ে নিয়েছে।
এবং অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু রোয়ান ক্রথারস উল্লেখ করছেন, গেমস বাতিলের ঘটনা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে বেদনাদায়ক। কমনওয়েলথ গেমসই হল একমাত্র বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেখানে শারীরিকভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরাও যোগদান করেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “খেলাধুলার ব্যাপারে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর প্রশ্নে [এটি] একটি ছিল দুর্দান্ত সুযোগ,” তিনি টুইটারে লিখেছেন।কিছু অ্যাথলেটদের কাছে কমনওয়েলথ গেমসে একটি স্বর্ণপদক জয়ের গৌরব প্যারালিম্পিকে একাধিক স্বর্ণ পদক জয়ের চেয়েও বেশি … স্বীকৃতি এবং সমতার গৌরব বিজয় অর্জনের চেয়েও বেশি।
সূত্র : বিবিসি বাংলা