রাজনীতি

এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা ইসলামী ঐক্যজোটের

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২৩

ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনমুখী সংগঠন। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়েছে। কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। তাই ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিসের শূরা বিগত সময়ের মতো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব আলতাফ হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সচিব মাওলানা ফারুক আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট মুফতি আমিনীর চেতনা লালন করে সবসময় স্বাধীনভাবে দেশ ও ইসলামের স্বার্থে নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। কারও অন্ধ অনুসরণ ও লেজুড়বৃত্তিতে ইসলামী ঐক্যজোট বিশ্বাসী নয়। দেশ-জাতি, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে যা কল্যাণকর মনে করে ইসলামী ঐক্যজোট তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কোনো সময় বিনা চ্যালেঞ্জে ফাঁকা ময়দানে গোল দেওয়ার সুযোগ কাউকেই দেয়নি। আমরা সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছি। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার। তাই ইসলামী ঐক্যজোটের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এই স্বল্পসময়ের ভেতর প্রার্থীদের নির্বাচনী যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া বেশ কঠিন হবে। তাই ইসলামী ঐক্যজোট ঘোষিত তফসিল পুনর্বিন্যাস করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাই।

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট মনে করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। তাই ইসলামী ঐক্যজোট সবার অংশগ্রহণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। ইসলামী ঐক্যজোট দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেশের স্বাধীন অস্তিত্বের ওপর আঘাত আসে এ জাতীয় কোনো অপতৎপরতা ইসলামী ঐক্যজোট বরদাশত করবে না। তাই সব ধরনের হস্তক্ষেপমুক্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান এদেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রাণের দাবি। এর বাইরে গিয়ে কোনো নির্বাচন এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না। সেজন্য হস্তক্ষেপমুক্ত একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান দেশের জনগণের প্রাণের দাবি। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন কারও কাছে মাথা নত না করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।