জাতীয়

এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন প্রথম নারী সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২৩

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রথম নারী সচিব হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গত বছর যোগ দেওয়া অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। তিন বছরের জন্য তিনি এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন। ফাতিমা ইয়াসমিন ছাড়াও এডিবির আরো পাঁচজন ভাইস প্রেসিডেন্ট রয়েছেন।

বুধবার (২৮ জুন)ম্যানিলাভিত্তিক এ উন্নয়ন সংস্থা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। ফাতিমা ইয়াসমিন বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব। এর আগে তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— আশা করা হচ্ছে, আগামী আগস্টে তিনি এডিবিতে যোগদান করবেন। তিনি নতুন তৈরি হওয়া সেক্টর গ্রুপ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ বিভাগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। নতুন এ উন্নয়ন মডেলটি আগামী ৩০ জুন উদ্বোধন করবে এডিবি। অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্সের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফাতিমা ইয়াসমিনের ৩২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা আছে।কর্মজীবনে ৩২ বছরের বেশি অভিজ্ঞ ফাতিমা ইয়াসমিন এডিবির নতুন অপারেটিং মডেলের আওতায় নবগঠিত সেক্টর গ্রুপ, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব্ পালন করবেন।

২০২৩ সালের ৩০ জুন চালু হতে যাওয়া এডিবির নতুন অপারেটিং মডেলের আওতায় ইয়াসমিনের অধীনে দুটি গ্রুপে এডিবির খাত ও থিমেটিক দক্ষতা একীভূত করা হবে, যাতে দেশের কর্মসূচি অনুযায়ী ক্লায়েন্টদের সমন্বিত সমাধান প্রদান করা যায় এবং এ অঞ্চলে উন্নয়ন জ্ঞানের ক্ষেত্রে অগ্রণী হিসেবে এডিবির অবস্থান শক্তিশালী করা যায়। এই খাত ও থিমেটিক গ্রুপগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এই অঞ্চলের মূল উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ চালু ও নেতৃত্ব দেবে। ফাতিমা ইয়াসমিন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্সে মাস্টার্স ও বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির রাটগার্স ইউনিভার্সিটিতে হুবার্ট হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রামের অধীনে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসে ফেলোশিপ পেয়েছিলেন।